Wednesday, August 13, 2025

সেলস-মার্কেটিংয়ে চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য ৫০টি সংক্ষিপ্ত ও পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া হল-*

 *সেলস-মার্কেটিংয়ে চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য ৫০টি সংক্ষিপ্ত ও পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া হল-*

১. EDS- Every Dealer  survey 

২. DSS- Daily Sales Statement

৩. C/S- Cumelative sales

৪. RDT- Required Daily Target

৫. CSD- Carbonated Soft Drink

৬. RGB -Returnable Glass Bottle

৭. GOD- Glass on deposit

৮. PJP: Permanent Journey Plan

৯. MIT: Market Impact Team

১০. CRM: Customer Relationship Management

১১. GREEN: Grow Your Excellence Execution

১২. FMCG - Fast Moving Consumer Goods

১৩. SKU- Stock Keeping Unit

১৪. LPC-Line per call

১৫. CPR-Call Productivity Rate

১৬. VPC -Value Per Call

১৭. POSM- Point of Sales Material/Marseilles.

১৮. QPC-

১৯. SWOT- Strength, Weakness, Opportunity, Threats.

২০. FIFO- First in, First Out

২১. LIFO-Last in, First out

২২. TP-Trade Prise

২৩. DP- Distributor Price

২৪. MRP- Maximum Retail Price

২৫. ROI- Return on Investment

২৬. TA/ DA- Travel Allowance ও Daily Allowance

২৭. PLC- Product Life Cycle

 ২৮. MICR- Magnetic Ink Character Recognition

২৯. MIS- Management Information System

৩০. IMS- In Market Sales

৩১. VAT- Value Added Tax

৩২. POP/POS- Point of Purchase ও Point of Sales

৩৩. CP- Call Productivity

৩৪. NSV- Net Sales Value

৩৫. GSV- Gross Sales Value

৩৬. SCM- Supply Chain Management

৩৭. DCR- Daily Salesl Report

৩৮. FABS- Features Advantage Benefits Selling

৩৯. B2B- Business to Business

৪০. UPS- Uninterrupted Power Supply

৪১. QPS-Queries per second

৪২. KPI-Key Performance Indigator

৪৩. TIN- Taxpayer Identification Number

৪৪. TMT-Total Market Target

৪৫. ADS-Average Daily Sales

৪৬. NPD: New Product Development

৪৭. GCC-Global Customer Code

৪৮. SFA-Sales Force Automation

৪৯. iDAS-Integrated Distributor Automation System


 সংরক্ষণ করে রাখুন ।

1) FMCG=Fast Moving Consumer Goods,

2) SKU= Stock Keeping Unit,

3) ROI= Return On Investment,

4) FiFo= Frist in Frist Out,

5) LiFo= Last in Frist Out,

6) TIN= Taxpayer Identification Number,

7) VAT= Value Added Tax,

(8) CPR= Call Productivity Rate,

9) MIS= Management information System,

10) IMS= In Market Sales,

11) ICR= Indroduction Communication Relation,

12) LPC= Line Per Call,

13) TP= Trade Price,

14)DP=Distributor Price,

15) MRP= Maximum Retail Price,

16) CP= Consumer Program,

17) TT= Telegraphic Transfer,

18) STD= Sales To Date,

19) MT= Monthly Target,

20) DT= Daily Target,

21) RDT= Revised Daily Target,

22) CA= Cumulative Achivement,

23) IP= Invoice Price,

24) DD= Demand Draft,

25) SL= Serial Number,

26) CSD= Customer Service Department,

27) BL= Balance,

28) BSTI= Bangladesh Standard & Testing 

Institute.

29)ADS=Daily Average Sales

30)STI=Stock Transfer Industries

31)LPD=Line Per Distributor

32)NOC=No Objection certificate


*Please write in your activity khata*

 Required  For All Sales Staff

সকল বিক্রয় কর্মীর জন্য প্রয়োজন.


1. FMCG=Fastmoving Consumer Goods.

দ্রুত চলমান ভোগ্য পন্য।

2. SKU=Stock Keeping Unit.

মজুত পালন একক।

3. STR=Stock Turnover Ratio.

মজুত উলটানো  অনুপাত। 

4. ROI=Return On Investment.

বিনিয়োগের প্রত্যাবর্তন।

5. FEFO=Frist Expiry Frist Out. (FIFO=Fist in First Out)

প্রথম মেয়াদ শেষে।

6. LEFO=Last Expiry  Frist Out. (LIFO=Last In First Out)

শেষ মেয়াদ প্রথমে। 

7.  DE=Date Of Expiry.

মেয়াদের তারিখ। 

8. TIN=Taxpayer Identification Number.

করদাতা সনাক্তকরণ সংখ্যা।

9. VAT=Value Added Tax.

কর মূল্য যোগ। 

10. CPR=Call Productivity Rate.

আহ্বান প্রমোদ দর।

11. MIS=Management Information System.

ব্যবস্হাপনা তথ্য পদ্ধতি। 

12. IMS=In Market Sales.

বাজার মধ্যে  বিক্রয়। 

13. ICR=Introduction Communication Relation.

ভুমিকা যোগাযোগ সমপর্ক।

14. LPC=Line Per Call.

রেখা প্রতি আহ্বান। 

15. BCP=Brand Call Productivity.

পণ্য চিহ্ন আহ্বান প্রমোদ। 

16. TP=Trade Price.

বাণিজ্য মূল্য। 

17. DP=Distributor Price.

পরিবেশক মূল্য। 

18. MRP=Maximum Retail Price.

সর্বাধিক খুচরা মূল্য। 

19. RSP=Retailer Sales Price.

খুচরা বিক্রয় মূল্য। 

20. S/R=Strike Rate.

ধর্মঘট দর।

21. DB=Distributor.

পরিবেশক।

22. DSR=Distributor Sales Representative.

পরিবেশক বিক্রয় প্রতিনিধি। 

23. P/S=Primary Sales.

প্রাথমিক বিক্রয়। 

24. S/S=Secondary Sales.

মাধ্যমিক বিক্রয়। 

25. GSV=Gross Sales Value.

স্হূল বিক্রয় মূল্য। 

26. NSV=Net Sales Value.

নিট বিক্রয় মূল্য। 

27. CP=Consumer Program.

ভোক্তা অফার। 

28. TT=Telegraphic Transfer.

দূরবার্তাসংক্রান্ত হস্তান্তর। 

29. STD=Saler To Date.

বিক্রয়ের তারিখ। 

30. MT=Monthly Target.

মাসিক লক্ষ্য ।

31. DT=Daily Target.

প্রতিদিনের লক্ষ্য ।

32. RDT=Revised Daily Target.

সংশোধিত প্রতিদিনের লক্ষ্য।

33. DCR= Daily Call Report.

দৈনিক আহ্বান নথিভুক্ত। 

34. SRC=Sales Record Card.

বিক্রয় নথিভুক্ত কার্ড।

35. CRC=Consumers Record Card.

ভোক্তার নথিভুক্ত কার্ড।

36. DRC=Dealers Record Card.

পরিবেশকের নথিভুক্ত কার্ড।

37. BB) Best Before.

সর্বশ্রেষ্ঠ আগে। 

38. Mfg=Manufacturer.

প্রস্তুতকারক।

39. CA=Cumulative Achivement.

ক্রমসঞ্চিত অর্জন।

40. IP=Invoice Price.

চালান মুল্য।

41. DD=Demamd Draft.(DO=Demand Order)

চাহিদা খসড়া। 

42. SN=Serial Number.

ক্রমিক সংখ্যা। 

43. CSD=Customer Service Department

ক্রেতা সেবা বিভাগ। 

44. BL=Balance.

 ভারসাম্য।

Friday, August 8, 2025

সেলস ম্যানারশীপ (Sales Manner ship): বিক্রয়ে ভদ্রতা ও পেশাদার আচরণের পূর্ণাঙ্গ গাইড

 *সেলস ম্যানারশীপ (Sales Manner ship) কি? এটি সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর আকারে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:*



🧾 প্রশ্ন ১: সেলস ম্যানারশীপ (Sales Manner ship) কী?


উত্তর:

সেলস ম্যানারশীপ হলো বিক্রয়কারীর (Salesperson) এমন আচরণ ও ব্যবহারগত কৌশল, যার মাধ্যমে সে গ্রাহকের সাথে ভদ্রতা, নম্রতা, পেশাদারিত্ব এবং ভালো ব্যবহার বজায় রেখে বিক্রয় কার্য সম্পাদন করে।


এটি শুধু পণ্য বিক্রি নয়, বরং আচরণ, ব্যবহারের সৌন্দর্য এবং সম্পর্ক গড়ার কৌশল— যা একজন বিক্রয় প্রতিনিধি সফলভাবে গ্রাহকের মন জয় করতে ব্যবহার করে।


📌 সংক্ষেপে, সেলস ম্যানারশীপ = বিক্রয়ের সময় “ভদ্রতা + ব্যবহার কৌশল + পেশাদার আচরণ”



🧾 প্রশ্ন ২: সেলস ম্যানারশীপের কার্যাবলি কী কী?


উত্তর:

সেলস ম্যানারশীপের মাধ্যমে একজন বিক্রয়কর্মী যেসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন, সেগুলো হলো:


ধারাবাহিক কার্যাবলি ব্যাখ্যা


ভদ্রতা ও সৌজন্য প্রদর্শন গ্রাহকের সাথে সদাচরণ, হাসিমুখে কথা বলা।

শ্রদ্ধাশীল ব্যবহার বয়স, পেশা, মতামত ইত্যাদি অনুযায়ী শ্রদ্ধা প্রদর্শন।

সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পণ্যের তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করে বিশ্বাস অর্জন।

গ্রাহকের চাহিদা বোঝা প্রশ্ন করে বা মনোযোগ দিয়ে শুনে সমস্যার সমাধান দেওয়া।

পরিষ্কার যোগাযোগ স্পষ্ট, সংক্ষেপ ও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা।

পেশাদার আচরণ পরিপাটি পোশাক, সময়ানুবর্তিতা, নিয়মানুবর্তিতা।

সম্মানজনক বিদায় বিক্রয় হোক বা না হোক, গ্রাহককে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানানো।



🧾 প্রশ্ন ৩: সেলস ম্যানারশীপ অর্জনের উপায় কী?


উত্তর:

সেলস ম্যানারশীপ অর্জনের জন্য একজন বিক্রয়কর্মীকে নিচের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে:


✅ ১. আচরণগত শিক্ষা ও অনুশীলন:


প্রতিদিন ভদ্রভাবে কথা বলার চর্চা করা।


সময়মতো কথা বলা ও শোনা শেখা।



✅ ২. যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানো:


চোখের দিকে তাকিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলা।


স্পষ্ট ও বিনয়ের সাথে কথা বলা।



✅ ৩. আত্ম-উন্নয়ন ও মূল্যবোধ চর্চা:


সহানুভূতি, ধৈর্য, শ্রদ্ধাবোধ রপ্ত করা।


অন্যকে বুঝতে শেখা (Emotional Intelligence উন্নয়ন করা)।



✅ ৪. নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ:


বিক্রয় ও আচরণগত প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করা।


সেলস এক্সপার্টদের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা থেকে শেখা।



✅ ৫. বাস্তব চর্চা ও প্রতিফলন:


প্রতিদিন বিক্রয়কালে নিজের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা।


ভুল হলে তা সংশোধনের চেষ্টা করা।



🧾 প্রশ্ন ৪: সেলস ম্যানারশীপ কেন গুরুত্বপূর্ণ?


উত্তর:


এটি গ্রাহকের মনে পজিটিভ ইমপ্রেশন তৈরি করে।


দীর্ঘমেয়াদে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়।


বারবার ক্রয়কারী গ্রাহক তৈরি হয় (Repeat Customer)।


প্রতিষ্ঠানের ইমেজ ও ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ে।


প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সহায়তা করে।



🔚 উপসংহার:


সেলস ম্যানারশীপ হলো বিক্রয়ের একটি মানবিক দিক, যেখানে বিক্রয়কর্মীর আচরণ, ব্যবহার, এবং মনোভাব—গ্রাহকের অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করে। একজন দক্ষ বিক্রয় প্রতিনিধি শুধু পণ্যই বিক্রি করে না, বরং বিশ্বাস, সম্মান এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়তে সচেষ্ট থাকেন।

বিক্রয় পেশায় প্রবেশকালীন বাস্তবতা: সমস্যা, কারণ ও সমাধান

 *বিক্রয় পেশায় প্রবেশ কালীন বাস্তবতা:*


❓ প্রশ্ন ১: কেন বলা হয় যে, *“যার নেই কোনো কাজ, সে করে বিক্রয় পেশার সহজ জব”?*


উত্তর:


প্রবেশদ্বার খোলা: শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা ছাড়াই এই পেশায় ঢোকা যায়।


বিকল্পহীনতার সুযোগ: কেউ যখন সরকারি বা ভালো বেসরকারি চাকরি পায় না, তখন সেলস পেশা শেষ ভরসা হয়।


চাহিদা বেশি, যাচাই কম: প্রতিটি FMCG কোম্পানির অনেক সেলস ফোর্স লাগে, তাই দ্রুত লোক নেওয়া হয় যাচাই ছাড়া।


স্থানীয় সুপারিশ নির্ভরতা: লোকাল সুপারভাইজার বা হোলসেল ডিলারদের সুপারিশেই অনেকেই নিয়োগ পেয়ে যায়।


❓ প্রশ্ন ২: কেন বলা হয় *“যার নেই কোনো গতি, সে পায় বিক্রয় পেশার হাতে খড়ি”?*


উত্তর:


ব্যর্থদের ঠিকানা বানানো হয়েছে: যারা অন্য পেশায় ব্যর্থ, তারা সেলস পেশায় ঢুকে পড়ে।


দূরদর্শিতা ছাড়া পদচারণা: অনেকেই সেলসকে একটি “স্টেপিং স্টোন” মনে করে, সিরিয়াসলি নেন না।


পেশাগত সম্মানহীনতা: এই পেশাকে চাকরির বাজারে অনেকেই ‘লাস্ট অপশন’ হিসেবে দেখে।


❓ প্রশ্ন ৩: কেন স্থানীয়ভাবে যারা নিয়োগে সহায়তা করেন, তারা নিরুপায় হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেন?


উত্তর:


কম বেতন, উচ্চ চাহিদা: কোম্পানিগুলো ৮-১০ হাজার টাকায় সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ খুঁজে, যা মেধাবীদের কাছে অবমাননাকর।


দায়বদ্ধতা ছাড়া নিয়োগ: “লোক লাগবে, কে যেন থাকুক”—এই চিন্তাভাবনায় লোক নেওয়া হয়।


দুর্বল জায়গাগুলোর লোক কম: প্রত্যন্ত বা গ্রামীণ এলাকায় মেধাবী ও শিক্ষিত লোক পাওয়া কঠিন, তাই স্থানীয়ভাবে যারাই আসে, তাদেরই রাখা হয়।



❓ প্রশ্ন ৪: কেন এই পেশায় সবচেয়ে বেশি দূর্বল, অদক্ষ ও হিংসাপরায়ণ লোক ঢুকে পড়ে?


উত্তর:


মূল্যায়নহীনতা: কেবল ‘টার্গেট পূরণ করতে পারলেই চলবে’—এই মানসিকতা নিয়োগের মান কমিয়ে দেয়।


নৈতিকতা যাচাই হয় না: কেউ কেমন মানুষ—তা দেখা হয় না, শুধু ‘লোক চাই’ দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে।


শিক্ষা ও ট্রেনিংয়ের অভাব: অর্ধ-শিক্ষিত বা ট্রেনিং ছাড়া লোকজন সহজেই ঢুকে পড়ে, যাদের মধ্যে পেশাগত ভদ্রতা গড়ে ওঠে না।


অহংকার ও হিংসা বাড়ে: যোগ্যতা না থাকলেও পজিশনের কারণে নিজের গুরুত্ব মনে করে এবং অন্যদের সহ্য করতে না পেরে বিদ্বেষ পোষণ করে।


❓ প্রশ্ন ৫: এই ধরণের নিয়োগ থেকে কী কী সমস্যা তৈরি হয়?


উত্তর:


1. পেশার মান নষ্ট হয় – সেলস জবকে অনেকে “লোক দেখানো কাজ” হিসেবে দেখে।



2. সহকর্মীদের মধ্যে শত্রুতা বাড়ে – হিংসুক মানসিকতা থেকে টিম স্পিরিট নষ্ট হয়।



3. কোম্পানির ব্র্যান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় – কাস্টমারের কাছে সঠিকভাবে পণ্য বা অফার উপস্থাপন করতে পারে না।



4. শিক্ষিত, যোগ্য লোক এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় – ফলে এক সময় দক্ষতা সংকট তৈরি হয়।


❓ প্রশ্ন ৬: তাহলে এই পেশায় মানসন্মত নিয়োগ ও সংস্কার কিভাবে আনা সম্ভব?


উত্তর: ✅ ১. শিক্ষাগত ও আচরণগত যাচাই বাধ্যতামূলক করা উচিত

✅ ২. বেতন কাঠামো বাড়িয়ে যোগ্য মানুষ আকৃষ্ট করা উচিত

✅ ৩. লোকাল সুপারিশ নির্ভরতা কমিয়ে HR ডিপার্টমেন্টকে শক্তিশালী করা

✅ ৪. নিয়োগের আগে ন্যূনতম ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করা

✅ ৫. পারফরম্যান্স মূল্যায়নের সাথে আচরণ ও মূল্যবোধ যুক্ত করা (Behavioural KPI).


❓ প্রশ্ন ৭: এই পেশার প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে বদলানো সম্ভব?


উত্তর:


সফল সেলসম্যানদের উদাহরণ সামনে আনা


কোম্পানি থেকে কর্মীদের সামাজিক মর্যাদা দেওয়া (অ্যাওয়ার্ড, প্রশংসা)


সেলস পেশাকে প্রফেশনাল ক্যারিয়ার হিসেবে তুলে ধরা—'লাস্ট অপশন' নয়


শিক্ষিত, তরুণদের জন্য ট্রেনিং ও ক্যারিয়ার প্ল্যানিং চালু করা।


✅ উপসংহার:


FMCG সেলস পেশা বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র। কিন্তু যখন এই পেশায় "যার কিছু নেই, সে এলোমেলোভাবে ঢুকে পড়ে", তখন পেশাটির মর্যাদা নষ্ট হয়, টিম সংস্কৃতি ভেঙে পড়ে, এবং সারা সেক্টর ক্ষতির মুখে পড়ে।


এখন সময় হয়েছে, পেশাটিকে যোগ্য, মানবিক, শিক্ষিত ও পেশাদার লোকদের জন্য উন্মুক্ত করে তোলার। নয়তো এই পেশা হয়ে উঠবে একটি “ব্যাকআপ অপশন”—যেখানে আশা থাকবে না, সম্মানও না।

ক্যারিয়ার গাইড: সফল পেশাগত জীবনের জন্য সঠিক পথ বেছে নিন


ভূমিকা


বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে ক্যারিয়ার শুধুমাত্র একটি চাকরি নয়, বরং এটি আপনার জীবনধারা, আর্থিক স্থিতি এবং ব্যক্তিগত সন্তুষ্টির একটি বড় অংশ। তাই সঠিক পেশা নির্বাচন ও পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরি।



---


১. নিজের আগ্রহ ও দক্ষতা চিহ্নিত করুন


ক্যারিয়ার শুরু করার আগে নিজের আগ্রহ, পছন্দ ও দক্ষতা বোঝা জরুরি। আপনি কোন কাজ করতে আনন্দ পান? আপনার কোন দক্ষতা অন্যদের তুলনায় ভালো? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনাকে সঠিক পথে এগোতে সাহায্য করবে।



---


২. ক্যারিয়ার অপশন সম্পর্কে জানুন


আপনার দক্ষতার সঙ্গে মানানসই বিভিন্ন পেশা সম্পর্কে গবেষণা করুন। যেমন —


সরকারি চাকরি


বেসরকারি প্রতিষ্ঠান


ফ্রিল্যান্সিং


উদ্যোক্তা হওয়া


টেকনোলজি সেক্টর

প্রতিটি ক্ষেত্রের সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ বোঝার চেষ্টা করুন।




---


৩. স্কিল ডেভেলপমেন্টে বিনিয়োগ করুন


আজকের দিনে শুধু ডিগ্রি থাকলেই হয় না, প্রয়োজন স্কিল। উদাহরণস্বরূপ —


যোগাযোগ দক্ষতা


কম্পিউটার দক্ষতা


নেতৃত্বের ক্ষমতা


সময় ব্যবস্থাপনা


ডিজিটাল মার্কেটিং বা কোডিংয়ের মতো টেক স্কিল

এই দক্ষতাগুলো আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে।




---


৪. নেটওয়ার্ক তৈরি করুন


পেশাগত নেটওয়ার্ক বা পরিচিতি আপনার ক্যারিয়ার উন্নত করতে সহায়ক। ইভেন্ট, সেমিনার, লিংকডইন ইত্যাদির মাধ্যমে পেশাগত সম্পর্ক তৈরি করুন।



---


৫. ক্যারিয়ার পরিকল্পনা তৈরি করুন


একটি পরিষ্কার পরিকল্পনা বানান—


১ বছরের লক্ষ্য


৩ বছরের লক্ষ্য


৫ বছরের লক্ষ্য

নিয়মিত নিজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করুন এবং প্রয়োজন হলে পরিকল্পনা পরিবর্তন করুন।




---


৬. অভিজ্ঞতা অর্জন করুন


ইন্টার্নশিপ, পার্ট-টাইম জব বা প্রজেক্টে অংশগ্রহণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। অভিজ্ঞতা শুধু রেজুমেকে শক্তিশালী করে না, বাস্তব দক্ষতাও বৃদ্ধি করে।



---


৭. ধৈর্য ও ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন


ক্যারিয়ার গড়া সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া। ব্যর্থতা আসতেই পারে, তবে ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।



---


উপসংহার


সঠিক পরিকল্পনা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি নিজের ক্যারিয়ারকে সফলভাবে এগিয়ে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনার ক্যারিয়ার আপনার হাতেই—তাই সঠিক পথে চলা শুরু করুন আজই।



Thursday, August 7, 2025

একজন সেলসম্যানের জন্য সঠিক রিলেশনশিপ বলতে কী বোঝায়?

 ✅ ১. ❓ একজন সেলসম্যানের জন্য সঠিক রিলেশনশিপ বলতে কী বোঝায়?


✔️ উত্তর:

সঠিক রিলেশনশিপ হল এমন একটি সম্পর্ক যা বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সহযোগিতা এবং নিয়মিত যোগাযোগের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে। এই সম্পর্ক সময়ের সাথে আরো দৃঢ় হয় এবং দু’পক্ষই এতে লাভবান হয়।


✅ ২. ❓ সেলসম্যানের জন্য সঠিক রিলেশনশিপ গড়ার প্রয়োজনীয়তা কী ও কেন?


ব্যক্তি প্রয়োজনীয়তা


🧍‍♂️ ক্রেতা (দোকানদার) বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে, অর্ডার ও রিটার্ন ম্যানেজ সহজ হয়

👨‍💼 সিনিয়র কলিগ দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা পাওয়া যায়

👨‍🔧 জুনিয়র কলিগ টিমওয়ার্ক, কাজের বণ্টন, দায়িত্ব ভাগাভাগি হয়

🚛 ডিস্ট্রিবিউটর পণ্য সরবরাহ, পেমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, রুট কাভার সহজ হয়।


✅ ৩. ❓ এই সকল ব্যক্তির সাথে সঠিক রিলেশনশিপের বৈশিষ্ট্য কী কী?


বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা


✅ ভালো যোগাযোগ (Clear Communication) ভুল বোঝাবুঝি কমে

✅ বিশ্বাসযোগ্যতা (Trustworthiness) দোকানদার বা সহকর্মীরা নির্ভর করতে পারে

✅ সহযোগিতা (Supportiveness) একে অপরের কাজে সাহায্য

✅ নম্রতা ও শ্রদ্ধাবোধ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়

✅ সমস্যা সমাধানের মনোভাব জটিলতা এড়িয়ে একসাথে সমাধান খোঁজে

✅ পরস্পরের উন্নয়নে সহায়তা টিমওয়ার্কের মাধ্যমে সবার উন্নতি।


✅ ৪. ❓ সঠিক রিলেশনশিপ কীভাবে তৈরি হয়?


✔️ উত্তর:

সঠিক রিলেশনশিপ তৈরি হয় সময়, আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব, ও কৌশলী ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে। এটি একদিনে হয় না — প্রতিদিনের আচরণ, কথা, ও সিদ্ধান্ত দিয়ে ধাপে ধাপে তৈরি হয়।


✅ ৫. ❓ রিলেশনশিপ গড়তে একজন সেলসম্যানকে কী কী ইনভেস্ট করতে হয়?


ইনভেস্টমেন্ট ব্যাখ্যা


🕒 সময় (Time) নিয়মিত দেখা করা, ফলোআপ করা

🗣️ যোগাযোগ (Communication) কল করা, মেসেজ দেয়া, খোঁজ নেওয়া

🙋 আন্তরিকতা (Sincerity) মন থেকে সম্মান করা ও সাহায্য করা

💡 জ্ঞান (Knowledge) পণ্যের সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করা

💰 ছাড়/স্কিম (Promotional Offers) দোকানদারদের আকৃষ্ট করতে

🎁 ছোট উপহার/স্বীকৃতি (Recognition) উৎসাহ বা পুরস্কার দেওয়া।


✅ ৬. ❓ এই ইনভেস্টমেন্ট কেন প্রয়োজন?


কারণ ব্যাখ্যা


🤝 সম্পর্ক দৃঢ় করতে শুধু পণ্য নয়, মানুষও সম্পর্ক দেখে কাজ করে

🛠️ টেকনিক্যাল সমাধান দিতে জ্ঞান ও সময় দিলে সমস্যার সমাধান সহজ হয়

💬 বিশ্বাস তৈরি করতে নিয়মিত যোগাযোগ রিলেশন তৈরি করে

📈 লং-টার্ম সেলস বাড়াতে ভালো সম্পর্ক থেকে বারবার অর্ডার আসে

🧭 সংকটে সহায়তা পেতে সমস্যা হলে যারা পাশে থাকবে, তারাই সত্যিকারের সম্পর্কের লোক।


✅ ৭. ❓ এই ইনভেস্টমেন্ট করলে একজন সেলসম্যান কী কী উপকার পায়?


উপকার উদাহরণ


📦 অর্ডার বৃদ্ধি দোকানদার বেশি অর্ডার দেয়

🔁 রিটার্ন কমে দোকানদার বিশ্বাস করে, তাই রিটার্ন কম হয়

🧾 নতুন প্রোডাক্ট ইনট্রোডাকশন সহজ হয় দোকানদার ট্রাই করতে রাজি হয়

🧠 জ্ঞান বৃদ্ধি সিনিয়রদের কাছ থেকে শেখা যায়

🙌 টিমওয়ার্ক জুনিয়রদের সহায়তা ও সহযোগিতা পাওয়া যায়

🚚 মাল ডেলিভারি ঠিক থাকে ডিস্ট্রিবিউটর সহযোগিতা করে

🎯 টার্গেট পূরণ সহজ হয় সবাই একসাথে কাজ করলে লক্ষ্য অর্জন দ্রুত হয়।


✅ ৮. ❓ সংক্ষিপ্ত টিপস: কাদের সাথে কেমন সম্পর্ক গড়তে হবে?


ব্যক্তি করণীয়


🧍‍♂️ দোকানদার খোঁজ নেওয়া, পণ্যের তথ্য দেওয়া, সময়মত ডেলিভারি নিশ্চিত করা

👨‍💼 সিনিয়র নিয়মিত রিপোর্ট, সম্মান, পরামর্শ গ্রহণ করা

👨‍🔧 জুনিয়র কাজ শেখানো, সহানুভূতি, প্রশংসা করা

🚚 ডিস্ট্রিবিউটর সহযোগিতা, নিয়মিত সমন্বয়, ফান্ড ম্যানেজমেন্টে সাহায্য করা।


✅ উপসংহার:


🔑 পয়েন্ট সারাংশ


🌱 সম্পর্ক গড়ে ওঠে ধীরে ধীরে ইনভেস্ট করতে হয় আন্তরিকতা, সময় ও সম্মান

💼 পেশাগত সম্পর্ক ≠ ব্যক্তিগত, কিন্তু মানবিক হতে হয় রিলেশনশিপ মানেই সহযোগিতা ও পারস্পরিক উন্নয়ন।

📈 ভালো সম্পর্ক = ভালো বিক্রয় শেষ পর্যন্ত ব্যবসার ফলাফলেও প্রভাব পড়ে।

Tuesday, August 5, 2025

ফিল্ড সেলস এক্সিকিউটিভদের ১০টি বাস্তব অভ্যাস: যারা প্রতিনিয়ত টার্গেট পূরণ করে”


✅ সফল সেলস পারসনদের ১০টি অভ্যাস


১. 🎯 প্রতিদিনের টার্গেট ঠিক রাখা


সপ্তাহ বা মাসের টার্গেট বড় মনে হলেও, সেটা ছোট ছোট ভাগে নিলে সহজ হয়। সফল সেলস পারসনরা প্রতিদিন সকালে নিজের Daily Target ঠিক করেন এবং সেটার উপর ফোকাস করেন।



---


২. 📒 PGP (Permanent Journey Plan) মেনে চলা


যাদের কাজ এলাকা ভিত্তিক, তারা PJP বা সফর পরিকল্পনা ঠিকঠাকভাবে অনুসরণ করেন। যারা এলোমেলোভাবে দোকানে যান, তারা সময় নষ্ট করেন এবং টার্গেটে পিছিয়ে পড়েন।



---


৩. 🗣️ কাস্টমারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা


সেলস শুধু ট্রেড ডিল করা না, বরং কাস্টমারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলাও। যারা দোকানদারের পরিবার, ব্যবসা এবং চাহিদা বুঝতে পারেন, তারা বেশি বিক্রি করেন।



---


৪. 📲 প্রযুক্তি ব্যবহার


আজকের যুগে যারা অ্যাপস, ট্যাব, অথবা সফটওয়্যার ব্যবহার করে রিপোর্ট সাবমিট করেন, অর্ডার নেন, তারা কোম্পানির কাছে বেশি ভ্যালু পান। কাজ দ্রুত হয়, ভুল কম হয়।



---


৫. 🕒 সময়কে গুরুত্ব দেওয়া


সময়মতো দোকানে পৌঁছানো, শিডিউল মেনে কাজ করা — এগুলো একজন সেলস এক্সিকিউটিভের প্রফেশনালিজম বোঝায়।

দোকানদারও তাকে সিরিয়াস ভাবে নেয়।



---


৬. 🛵 প্রস্তুত থাকা


বাইকে তেল নেই, বা প্রোডাক্টের প্রাইসলিস্ট নেই — এমন ভুল যারা বারবার করেন, তারা পিছিয়ে পড়েন। সফলরা সবসময় পুরো প্রস্তুত থাকেন – ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিস, ফর্ম, মডেল বা পোস্টার সব।



---


৭. ✍️ রিপোর্টিং এ স্পষ্টতা রাখা


"আজ কতটি দোকানে গেছেন", "কত অর্ডার নিয়েছেন", "কতটা টার্গেট পূরণ হয়েছে" — এসব তথ্য যারা প্রতিদিন নিয়ম করে রিপোর্ট করেন, তাদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণও সহজ হয়।



---


৮. 💬 সমস্যা শুনে সমাধান খোঁজা


যারা শুধু বিক্রি করতে যান, তারা একটা সময় দোকানদারের বিরক্তির কারণ হয়। কিন্তু যারা দোকানের সমস্যার সমাধান দিতে চেষ্টা করেন, তারা দীর্ঘমেয়াদী বিশ্বাস তৈরি করেন।



---


৯. 📢 প্রেজেন্টেশন ও কনভিন্সিং স্কিল


একই প্রোডাক্ট, কিন্তু কেউ বিক্রি করে ৫ কেস, কেউ ২০ কেস। পার্থক্য হয় উপস্থাপনায়। সফল সেলস পারসনরা অনুশীলন করেন কীভাবে কম শব্দে বেশি প্রভাব ফেলতে হয়।



---


১০. 😊 নিজেকে মোটিভেট রাখা


মাঠের কাজ কষ্টের — রোদ, বৃষ্টি, হতাশা, রিজেকশন সবই থাকে। যারা নিজেকে নিজের মতো মোটিভেট রাখতে পারেন, তারাই টিকে থাকেন, উন্নতিও করেন।



---


🎯 উপসংহার


সেলস এমন একটি কাজ যেখানে প্রতিদিন নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। আপনি যদি উপরের অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে আপনি শুধু একজন ভালো সেলস পারসনই হবেন না — একজন ভালো মানুষ ও লিডার হয়ে উঠবেন।


প্রতিদিন ছোট ছোট অভ্যাসই ভবিষ্যতে বড় ফল দেয়।


Monday, August 4, 2025

সেলস টার্গেট পূরণ করার ১০টি বাস্তব কৌশল: সফল বিক্রয়কর্মীদের গোপন ট্রিকস

"সেলস টার্গেট পূরণে ১০টি বাস্তব কৌশল (Realistic Sales Target Achieving Tips)"


সেলস টার্গেট — এটি প্রতিটি সেলস পার্সনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মাসের শুরুতে হাতে আসে টার্গেট, আর মাস শেষে চিন্তা করে কিভাবে সেটা পূরণ করা যায়। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও কৌশল অনুসরণ করলে এই টার্গেট পূরণ কঠিন নয়। এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো ১০টি বাস্তব ও প্রমাণিত কৌশল যা আপনাকে আপনার সেলস টার্গেট পূরণে নিশ্চিত সাহায্য করবে।



---


✅ ১. টার্গেট ভেঙে ছোট ছোট ভাগে নিন


পুরো মাসের টার্গেট একসাথে দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটিকে সপ্তাহ ও দিনে ভাগ করুন।

উদাহরণ: যদি আপনার মাসিক টার্গেট ৫০০ কেস হয়, তাহলে দিনে মাত্র 17 কেস করলেই তা পূরণ হবে।



---


✅ ২. সকালেই শুরু করুন সেলস ভিজিট


সকালের সময়টা হলো সেলসের জন্য সবচেয়ে কার্যকর। দোকান মালিকরা তখন শান্ত থাকে, কথা শুনে, অর্ডার দেয় সহজে।

📌 টিপস: সকাল ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে সর্বোচ্চ আউটপুট পাওয়ার চেষ্টা করুন।



---


✅ ৩. আপনার হট কাস্টমারকে প্রাধান্য দিন


যেসব দোকান রেগুলার অর্ডার দেয় বা ভালো রেসপন্স দেয়, তাদের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করুন।

তারা টার্গেটের একটা বড় অংশ পূরণে সহায়তা করতে পারে।



---


✅ ৪. প্রতিযোগী পণ্যের অবস্থা জানুন


কোন দোকানে আপনার পণ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি বেশি সাপ্লাই দিচ্ছে? সেখানে কৌশল করে অফার বা ডিসকাউন্টের মাধ্যমে আপনি জায়গা নিতে পারেন।



---


✅ ৫. অফার বা স্কিম ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করুন


বেশিরভাগ দোকানদার অফার বুঝতে পারে না। আপনি যদি ধৈর্য ধরে তাদেরকে বুঝান—কিভাবে লাভ বাড়বে—তাহলে তারা সহজেই অর্ডার দেবে।



---


✅ ৬. প্রতিদিনের অগ্রগতি ট্র্যাক করুন


টার্গেট পূরণ হচ্ছে কিনা সেটা নিয়মিত খেয়াল করুন। PJP অনুযায়ী দিনে দিনে ট্র্যাকিং না করলে শেষে গিয়ে সময় থাকবে না।

📊 চর্চা করুন: Google Sheet বা খাতা ব্যবহার করে প্রতিদিনের অর্ডার লিখে রাখুন।



---


✅ ৭. নতুন দোকান বা হোয়াইট স্পট খুঁজে বের করুন


পুরোনো দোকানগুলো থেকে অর্ডার কম এলে নতুন দোকান যোগ করা জরুরি।

আপনার রুটে কোথায় কোন নতুন দোকান এসেছে খেয়াল রাখুন।



---


✅ ৮. মনোবল হারাবেন না


সেলস এমন একটি কাজ যেখানে "না" অনেক শুনতে হয়। এটা নিয়ে ভেঙে পড়া যাবে না।

নিজেকে বলুন—"প্রতি ১০টা না-র পর ১টা হ্যাঁ আসবেই।"



---


✅ ৯. সিনিয়র বা AM এর সাথে রুটিন ফলোআপ নিন


মাঝে মাঝে আপনার টার্গেট পূরণে সিনিয়রদের সাহায্য দরকার হয়—বিশেষ করে ডিস্প্লে, পেমেন্ট ক্লিয়ারেন্স বা স্কিম ক্লোজ করতে।



---


✅ ১০. নিজেকে পুরস্কৃত করুন


টার্গেট পূরণ করলে নিজেকে একটি ছোট পুরস্কার দিন—যেমন ভালো খাবার, একটা ঘোরাফেরা ইত্যাদি। এতে আপনার মাইন্ড সেট আরও পজিটিভ থাকবে।



---


✅ বোনাস টিপ:


"রিজেকশন মানে আপনি ব্যর্থ না, বরং আপনি এক ধাপ এগিয়ে।"

আপনি প্রতিদিন যত বেশি ক্লায়েন্টের কাছে যাবেন, তত বেশি অর্ডার পাবেন।



---


উপসংহার:


সেলস টার্গেট পূরণ করা কোনো অলৌকিক ব্যাপার নয়। এটি পরিকল্পনা, ধৈর্য, ও নিয়মিত চর্চার ফল। উপরের ১০টি কৌশল যদি আপনি বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করেন, তাহলে ইনশাআল্লাহ প্রতিমাসে আপনি আপনার টার্গেট নিশ্চিতভাবেই পূরণ করতে পারবেন।



---