Sunday, July 1, 2018
বিখ্যাত ব্যক্তিদের বানী। এবং বাস্তব ভিত্তিক কিছু কথা। ২
part: 2
(৫৫) জীবনের চলার পথে কখনোই দিশেহারা হয়ে ভেঙ্গে পড়ো না। সৃষ্টিকর্তার উপর আস্থা রাখো। তিনিই সবশ্রেষ্ঠ পথ প্রদর্শক।
(৫৬) নিজেকে কখনওই দূবল বা অসহায় মনে করো না। ভুলো না আমাদের প্রতিপালক সব'শক্তিমান
(৫৭) যে মানুষ বিবেক বিবর্জিত তাকে পিশাচ বলাই শ্রেয়। তাকে মানুষ বললে আমাদের মনুষ্যত্ব ক্ষতবিক্ষত হয়।
(৫৮) আমাদের চোখ যদি ব্যাহ্যিক সৌন্দর্যর বদলে অন্তরের সৌন্দর্য দেখতে পেতো, তাহলে সৌন্দর্য এর সংজ্ঞাই পাল্টে যেতো
(৫৯) অর্থ নয় শারীরিক সুস্থতাই আমাদের সবচাইতে বড় সম্পদ। একজন সুস্থ ব্যাক্তি অর্থ উপার্জনে সক্ষম। কিন্তু চাইলেই অর্থ দ্বারা সুস্থতা অর্জন সম্ভব নয়।
(৬০) সৃষ্টিকর্তা দয়ালু ও ক্ষমাশীল। কৃত অন্যায়ের জন্য পরিতাপ করো, পুনরাবৃত্তি নয়।
(৬১) পৃথিবীতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখো, তোমার ইচ্ছাপূরণে তিনিই যথেষ্ট
(৬২) প্রতিটি ঝলমলে দিন প্রকৃতপক্ষে অন্ধকারে ঢাকা। কারণ এক মুহূর্ত পরে কি ঘটবে তা আমাদের জ্ঞানের বাইরে। তবুও আমরা এগিয়ে চলি সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে।
(৬৩) এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দিও না, যা তুমি রাখতে পারবে না। আশাভঙ্গর কষ্ট হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী অবশ্যই ঘৃণিত ও ধিক্কৃত।
(৬৪) পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হয়নি বলে মন খারাপ করোনা। বিশ্বাস রাখো সৃষ্টিকতা তোমায় নিয়ে এরচেয়েও আনেক ভালো পরিকল্পনা করে রেখেছেন।
(৬৫) অপরের দুখের উপর নিমিত সুখের অট্টলিকা ক্ষণস্থায়ী।
(৬৬) কাউকে চেনা এবং বুঝতে পারা সম্পুর্ন দুটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি । আমরা যতো জনকে চিনি তাদের সবাইকে কি আমরা বুঝি??? .... অথচ কতো সহজেই মানুষ সম্পর্কে মন্তব্য করে বসি !!!
....... নারিকেলের কঠিন খোলের মাঝেই কিন্তু তরল পানিয় লুকিয়ে থাকে
(৬৭) বিবাহিত মেয়েদের দেখলে আর কোন কথা পাই বা না পাই এক গাল হেসে আমরা বলে উঠি , "কি ব্যাপার খালা/mama/ uncle হব কবে?" আপনার বা আমার কাছে বিষয়টি নিছক রসিকতা , কিন্তু যে মেয়েটা গত ৫ বছর ধরে পলিসিস্টিক ওভারীর ট্রিটমেন্ট নিচ্ছে , শ্বশুরবাড়ীর কথার খোঁচায় জর্জরিত হচ্ছে , তার কাছে এই নির্মম রসিকতা কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত ।
যেই মেয়েকে দেখলে আমরা বলে ফেলি " বিয়ে করবা কবে? বয়স তো কম হল না ! "
আপনি বা আমি হয়তো কখনো ই জানবোনা বাবা না থাকার অপরাধে তার আজকাল বিয়ের প্রস্তাব ই আসে না । কিংবা আস্ত একটি বাড়ি না থাকার কারনে প্রতি সপ্তাহে বিয়ের প্রস্তাব ফিরে যায় ।
ছেলেটা এখনো বাপের হোটেলে খায় বলে সমালোচনাকারী আমরা কখনো জানার চেষ্টা করিনা , ক্ষমতাবান মামা চাচার অভাবে প্রতিনিয়ত তার ইন্টারভিউ রিজেক্ট হওয়ার গল্প। বিয়ে করবা কবে , বাচ্চা নিবা কবে এই ধরনের একান্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন করার আগে , ব্যক্তিগত সম্পর্কের বাউন্ডারী টাও বুঝে নেয়া দরকার । আমাদের অযাচিত কৌতূহল আরেক জনের বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে কিংবা মানসিক অশান্তির কারন হতে পারে , দয়া করে এটা আমরা একটু মাথায় রাখি! আমাদের নির্বোধ প্রশ্নবাণ আরেক জনের চোখের পানির কারন না হোক !!!!!
(৬৮) যদি স্কুলের বাস্কেটবল টিম থেকে বাদ পড়া ছেলেটি পরের দুই যুগে বাস্কেটবল ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম প্লেয়ার মাইকেল জর্ডান হতে পারে তাহলে আপনার অনেক কিছু করে দেখানো এখনো বাকি।
(৬৯) যদি ইউনিভার্সিটিতে সিনেম্যাটিক আর্টসে ভর্তি হতে না পারা ছেলে আজকের ইনস্টিটিউট অফ সিনেমা লেজেন্ডারি স্টিভেন স্পিলবার্গ হতে পারে তাহলে আপনিও কিছু একটা করে দেখাতে পারবেন।
(৭০) যদি নয় বছর বয়সে চাচাতো ভাইদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের স্বীকার হওয়া দরিদ্র মায়ের কালো মেয়েটি একদিন টিভি লিজেন্ড অপরা উইনফ্রে হতে পারে তাহলে আপনি কেন নিঃশেষ হয়ে যাবেন?!
(৭১) যদি মাথায় ক্রিয়েটিভিটির অভাবের দুর্নাম নিয়ে চাকরি থেকে ব্যর্থ যুবকটি পরবর্তীতে নিজেকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট ওয়াল্ট ডিজনিতে পরিণত করতে পারে তাহলে আপনিও বাদ যাবেন না।
(৭২) যদি ওয়েইট্রেসের কাজ করা সিঙ্গেল মাদার মহিলাটি নিজের লেখা পান্ডুলিপি নিয়ে ২৭ জন প্রকাশকের কাছে ঘুরে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত এক প্রকাশকের আট বছরের বাচ্চা মেয়ের অনুরোধে বই প্রকাশিত হওয়ার পর সেই বই হ্যারি পটার আর লেখিকার নাম জে কে রাওলিং হতে পারে তাহলে আপনার হতাশ হওয়ার মতো তেমন কিছু ঘটেনি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment