(৯১) বিশ্বাসভঙ্গকারী কে ক্ষমা করা যায় কিন্তু পুনরায় বিশ্বাস করা বোকামি ..... ভুলো না হাজার বার ধুলেও কয়লা কিন্তু কালোই থাকে।
(৯২) বিশ্বাসের ঘরে চুরি পৃথিবীর সহজতম কাজ!!!
....কিন্তু এর শাস্তি কঠোরতর, যার বিচারক সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং।
....তাই ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় থেকে অধৈর্য হয়ো না।
শুনানিকালীন সময়ে বিচারক চুপই থাকেন
(৯৩) সৃষ্টিকর্তা আমাদের ইচ্ছে পূরণ করলে আমরা খুশি হই কিন্তু তারচেয়ে দ্বিগুণ খুশি হওয়া উচিৎ যদি ইচ্ছে পূরণ না হয়!!! ........ কারণ প্রথমটি ছিলো আমাদের ইচ্ছা, দ্বিতীয়টি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা
(৯৪) অন্যের দোষের সমুদ্রে ডুবুরি না হয়ে, নিজের মাঝে মুক্তার চাষ করাই উত্তম
(৯৫) অন্যায় পথে আসা প্রাচুর্য বয়ে আনে অশান্তি, সৎ পথ, সহজ জীবন .. বসতি করে শান্তি
(৯৬) মানুষ জীবনে অবধারিত ভাবে কিছু ভুল করে।
.......কেউ নিজের ভুল নিজেই শোধরাতে পারে, কেউ অন্যের সাহায্যে সমাধান করে।
... তবে ভুলের মাশুল তাকে গুণতেই হয়, হোক সেটা সাময়িক অথবা দীর্ঘমেয়াদি
(৯৭) কেউ আপনাকে বড় একটা ধাক্কা দিলো এতে কখনো ভেঙে পরবেন না বরঞ্চ ভাববেন......
সে আপনাকে ধাক্কা দিয়ে অনেকটা মহৎ কাজ করেছে কারন এইরকম ধাক্কা আমাদের সবার অনেক প্রয়োজন তা নাহলে আমরা কখনোই বড় কিছু অর্জন করতে পারবো না.......
সে হয়তো মনে মনে ভাবছে ধাক্কা দিয়ে ভালো করছে কারন দুর্বল হয়ে গেছেন আপনি,
কিন্তু আপনার উচিত তাকে বুঝিয়ে দেয়া আপনি দুর্বল নয় বরং আরো সাহসী হয়ে উঠেছেন.!!
..... জীবনের চলার পথে এইরকম দু একটা ধাক্কা আমরা যারা মানুষ কে অতিরিক্ত ভালোবাসি তাদের জন্য অতীব প্রয়োজন।
এতে ভুল মানুষ গুলো কে চেনা যায়..
(৯৮) নিজেকে কখনোই বাতিল বা অপ্রয়োজনীয় ভেবো না...... মরা গাছেও অনেক সময় পাকা ফল দেখতে পাওয়া যায় ।
(৯৯) যারা Biology পড়েছেন তারা জানেন , বিশেষ সময় একজন পুরুষ একবারে ২০০-৩০০ মিলিয়ন স্পার্ম নির্গত করেন। এই ৩০০ মিলিয়ন স্পার্মই Ovum এর দিকে ছুটতে ছুটতে সেখানে পৌছায় মাত্র ৩০০-৫০০ পিস !
মাত্র ৩০০ - ৫০০ স্পার্মই Ovum এর কাছে যেতে পারে, আর বাকিরা এই "ছুটে চলার" দৌড়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বিলিন হয়ে যায়।
এই ৩০০-৫০০ স্পার্ম যেগুলা ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে এদের মধ্যে মাত্র ১ টাই ডিম্বানুকে উর্বর করে। আর যে একটা স্পার্ম ডিম্বানুকে উর্বর করে সেই একটাই আপনি বা আমি।
আপনি কখনও কি একবারের জন্যও এইভাবে চিন্তা করেছেন যে , আপনি তখন দৌড়াচ্ছিলেন তখন আপনার চোখ , হাত , পা , মাথা কিছুই ছিলনা ! ইনফেক্ট আপনি ছিলেন অর্ধেক। তবুও আপনি জিতেছিলেন।
আপনি তখন দৌড়াচ্ছিলেন , তখন আপনার কোন সার্টিফিকেট ছিল না , কিন্তু তবু আপনি জিতেছিলেন।
আপনি তখন কোন শিক্ষা ছাড়া দৌড়াচ্ছিলেন , কারো সাহায্য ছাড়াই দৌড়াচ্ছিলেন , ষ্টার্টিং ট্র্যাকে বাঁশি দেয়ার কেউ ছিল না , তবু আপনি ঠিক সময়ে দৌড় দিয়েছিলেন ও জিতেছিলেন সেই প্রতিযোগিতা।
অথচ , আজ আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে যান। পরাজয় মেনে নেন । অথচ , এখন আপনার সার্টিফিকেট আছে, প্লান করার মানুষ আছে , সাহায্য করার হাত আছে , তবুও আশা হারিয়ে ফেলেন।
যেখানে আপনি আপনার জীবনের প্রথম দিনেই হার মানেন নাই , সেখানে আপনি এখন কেন হার মানবেন ?
( আলেকজান্ডার আমীর থেকে সংগৃহীত)
(১০০) আমরা রোলেক্স বা ক্যাসিও যে ঘড়িই পরি না কেনো সময় কিন্তু একই দিবে, মার্সিডিজ বা সুবারু যে গাড়িই চড়ি না কেনো চলবে কিন্তু একই রাস্তায়, বিমানের বিজনেস বা ইকোনমি যে ক্লাসেই ভ্রমণ করি না কেনো গন্তব্যে কিন্তু একই সময়ে পৌছবে....... তবুও বিত্ত বৈভবের কারনে আমরা তফাতের সৃষ্টি করি। ........তবে কোটিপতি বা ছাপোষা যেই হই না কেনো মৃত্যু কিন্তু অনিবার্য সেখানে এই অর্থ বিত্ত কোনো কাজেই আসবে না
(১০১) বাজপাখি প্রায় ৭০ বছর জীবিত থাকে, অথচ ৪০ আসতেই ওকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই সময়ে তার শরীরের ৩টি প্রধান অঙ্গ দূর্বল হয়ে পড়ে.....
১) পায়ের নখ
২) ঠোঁট
৩)ডানা
..... ফলস্বরূপ শিকার খোঁজা, ধরা ও খাওয়া ৩টি কাজই বাজপাখির জন্য ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে পড়ে। তখন তার জন্য ৩টি পথ খোলা থাকে......
১) আত্মহত্যা
২) শকুনের মতো মরা খাওয়া
৩) নিজেকে নতুন করে তৈরি করা
...... বাজপাখি একটি উঁচু পাহাড়ে বাসা বাধে আর শুরু করে নতুন করে বাঁচার প্রচেষ্টা। সে প্রথমে পাথরে বাড়ি মেরে মেরে তার ঠোট ও নখগুলি ভেঙ্গে ফেলে। তারপর অপেক্ষায় থাকে নতুন নখ ও ঠোট গজানোর। নখ ও ঠোট গজালে বাজপাখি ডানার সমস্ত পালকগুলি ছিঁড়ে ফেলে। প্রচন্ড কষ্ট সহ্য করে সে অপেক্ষায় থাকে নতুন পালকের।
..... সব মিলিয়ে ১৫০ দিনের কঠিন পরীক্ষার পর বাজপাখি ফিরে পায় তার নতুন জীবন.. হয়ে উঠে আগের চাইতেও ক্ষিপ্র ও চৌকশ।
সারকথা : আমাদের জীবনেও অনেক উথান পত্তন আসে কিন্তু তাতে হার মানলে চলবে না।
...... বয়স কোনো বাধাই নয় বাজপাখির মতোই নব উদ্দ্যমে আমরা আমাদের অতীতকে পিছনে ফেলে অন্তহীন শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাবো নতুন ভবিষ্যতের পথে
(১০২) একটা গাধা এবং একটি শেয়াল বনের মাঝে ঝগড়া শুরু করলো।
গাধা বললো... ঘাস হলুদ!!!
শিয়াল বললো.. না ঘাস সবুজ!!!
যখন এই বিতর্ক চরম আকার ধারন করলো তখন তারা বিচারের জন্য বনের রাজা সিংহের কাছে গেলো।
সিংহ শেয়ালকে পূর্ণ একমাস বন্দি রাখার এবং গাধাকে মুক্তির আদেশ দিলো।
শিয়াল। সিংহকে প্রশ্ন করলো.... এটা কি ন্যায়বিচার? ঘাস কি সবুজ নয়???
সিংহ উত্তর দিলো.... ঘাস অবশ্যই সবুজ.. কিন্তু আমি তোকে বন্দি রাখার আদেশ করেছি কারণ তুই গাধার সাথে তর্ক করেছিস...!!!
সার কথা : আজকাল আমরা অনেকেই অযথা তর্কে জড়িয়ে পড়ি। এমন মানষের সাথে আমরা তর্কে লিপ্ত হই যাদের ব্যাপারে আমরা জানি পৃথিবীর সকল প্রমান
যদি তাদের মতবাদের বিপক্ষে দাড় করানো হয় তবুও তারা তাদের ভুল স্বিকার করবে না
(১০৩) নিজের ভিত শক্ত ভেবে কারো সাথে অন্যায় আচরণ করা বোকামি। ভুলো না প্রবল ভূমিকম্পে অনেক শক্ত ভিতের দালানকোঠা ও তাসের ঘরের মতো ধূলিসাৎ হয়
(১০৪) কেউ কেউ লাল শাকের বীজ ছিটালেও শাক খাবার সৌভাগ্য হয় না। আবার কেউ কেউ তালগাছের চারা লাগিয়ে সেই তালের পিঠা তৃপ্তি ভরে খেয়ে থাকেন। সারকথা : জীবন অনিশ্চিত তাই শোকর করো বেঁচে থাকার প্রতিটি মুহূর্
No comments:
Post a Comment