Saturday, June 27, 2020

গল্প: ভাবি_যখন_বউ পর্ব - ৫


 আমি সোফায় গিয়ে বসে রইলাম,একটু পর দেখি সে ব্যাগপত্র গুছিয়ে চলে যাচ্ছে। 

থামাতে গিয়েও থামাইনি, যাক তাতে আমার কি? এসব আবেগ দিয়ে তো আর জীবন চলে না। আমি তো ওরে জোর করে বিয়ে করিনি। 

আমাকে যদি এতোই অপছন্দ করতো তাহলে বিয়ের দিন বলে দিলেই পারতো। 

সারা দিন বাসায় কাটিয়ে দিলাম, বাবা মাও নেই। বাসাটা কেমন খালি খালি লাগছে। 

বিকালবেলা বাসা থেকে বের হয়ে দেখি আয়মান আমাদের বাসার সামনে বসে আছে,,,, 

আমিঃ কিরে তুই এখানে? 

আয়মানঃ কেন আসতে পারি না? 

আমিঃ আরে ধুর সেটা না, এই সময় তুই তো এদিকে আসিস না, সেজন্য জিজ্ঞেস করলাম। 

আয়মানঃ তোকে অনেকবার কল দিতেছিলান, মোবাইল অফ দেখাচ্ছে, তাই চলে আসলাম। 

আমিঃ আচ্ছা ভিতরে আয়। 

তারপর আয়মানকে নিয়ে আবার বাসায় গেলাম। 

আয়মানঃ কিরে কাওকে দেখছি না যে? 

আমিঃ আব্বু আম্মু মামার বাসায় গেছে। আসতে রাত হবে,,,, 

আয়মানঃ আর তোর বউ? 

আমিঃ ও ওর বাপের বাড়িতে চলে গেছে। 

আয়মানঃ কেন? 

আমিঃ আমার সাথে ঝগড়া করে। 

আয়মানঃ তুই আবার কি করলি? 

আমিঃ........(পুরো ঘটনা শেয়ার করলাম)

আয়মানঃ তো এখন কি সিদ্ধান্ত নিলি, অবন্তীকে রাখবি নাকি ডিভোর্স দিয়ে দিবি? 

আমিঃ এখনো কিছু চিন্তা করিনি। 

আয়মানঃ যেটা ভালো মনে হয় সেটা কর। 

আমিঃ হুম। 

আরো কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে, আয়মান চলে গেলো। 

মাগরিবের পরে নামাজ পড়ে আর বাসায় আসিনি। ভাইয়ার কবরের কাছে গেলাম,,,, 

কবরের পাশে বসে নিজে নিজেই বলতে শুরু করলাম,,,,,  

"ভাইয়া কেমন আছিস? তোর এই অকৃতজ্ঞ ভাইটা তোর বউকে সুখে রাখতে পারছেনা রে, তুই আমাকে মাফ করে দিস ভাই।

আমি কি করবো বল, এতো অল্প টাকা বেতনে ফ্যামিলি চালাতেও আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। 

তুই জানিস ভাই আমি সকালবেলা কখন নাস্তা করেছি ভুলে গেছি, শুক্রবার ছাড়া দুপুরবেলা আমার পেটে ভাত পড়েনা, শুধু পানি আর এক টুকরো পাউরুটি ছাড়া।

জানিস ভাই আমি দুইটা শার্ট দিয়ে পুরো বছর টা কাটিয়ে দিয়েছি। নিজের স্বাদ ইচ্ছা সব বিসর্জন দিয়ে দিয়েছি।

নিজের কম্পিউটার, মোবাইল, ঘড়ি সব বিক্রি করে দিয়েছি ওদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য। জানিস ভাই আমি পড়ালেখাটাও শেষ করে দিয়েছি শুধু অবন্তীর জন্য, কিন্তু দেখ সে আজকে আমাকে রেখে চলে গেছে। 

আসলে ভাই দোষটা আমারই, আমি ওদের কাওকে ঠিক মতো সুখে রাখতে পারছিনা। 

কি করবো বল, সারাদিন এতো কাজ করে বাসায় এসে আমার ফ্লোরে থাকতে ইচ্ছা করে না, আমারও ইচ্ছা করে অন্তত রাতের

No comments:

Post a Comment