প্রথমবারের মতো বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে ছেলে বাড়ি ফিরছে। পথিমধ্যে আবার বউয়ের ফোন,
-- ওগো শুনছো.... আমারা না একটা ভুল করে ফেলেছি। তোমার বাবাকে বলে এসো যে, তোমার জন্মদিন, আমাদের এনিভার্সারি, বা তোমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর নাম করেও যেনো আর এ বাসায় না আসে।
বউয়ের বাধ্য ছেলে! কথা কি অমান্য করতে পারে! কথা গুলো বলতে ফের বৃদ্ধাশ্রমে যায়। গিয়ে দেখে বাবা বৃদ্ধাশ্রমের মালিক বুড়ো লোকটার সাথে হেসে হেসে কথা বলছেন। মনে হলো যেন তারা পূর্বপরিচিত। তাই বাবার প্রস্থান পর্যন্ত অপেক্ষা করলো ছেলে। বাবা চলে গেলে ছেলে গিয়ে বৃদ্ধাশ্রমের মালিককে জিজ্ঞেস করলো,
-- আপনি কি বাবাকে চেনেন??
--চিনবো না কেন? উনি ত পাশের অনাথ আশ্রমে নিয়মিত আসতেন। আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে এখান থেকে একটা অনাথ শিশুকে দত্তকও নিয়েছিলেন। আর আমার ধারনা ভুল না হলে সেই শিশুটি এই মুহূর্তে আমার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে।
কথা গুলো একনাগাড়ে বলে মালিক সেখান থেকে চলে গেলেন। কিন্তু ছেলে অনেক্ষণ সেখান থেকে নড়তে পারলো না। হঠাত দৌড়ে গিয়ে বৃদ্ধাশ্রমের ৪০১ নাম্বার রুমে ঢোকলো ছেলে।
হয়তো গল্পটা সেখানে শেষ না হতে পারতো যদি বাবার দেহোটা নিথর না হতো। যদি হাতে বিষের বোতল না থাকতো।
আজো সেই ৪০১ নাম্বার রুম থেকে একটি লাশ বেরুলো। তার বালিশের নিচে একটি ডায়রি পাওয়া গিয়েছিলো। গল্পটা তারই ডায়রি থেকে নেওয়া।
No comments:
Post a Comment